“The Code Breaker” বইটি জেনেটিক্সের বিপ্লব এবং CRISPR প্রযুক্তি নিয়ে লেখা। এটি লেখক ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের লেখা একটি জীবনীমূলক বই, যেখানে বায়োকেমিস্ট জেনিফার ডুডনার জীবন ও কাজের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। বইটির মূল বিষয়বস্তু হল কীভাবে CRISPR-Cas9 নামক একটি বিপ্লবী প্রযুক্তি জিন সম্পাদনার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং কীভাবে এটি মানবজাতির ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করতে পারে।
বইটির প্রধান বিষয়বস্তু:
1. জেনেটিক্স ও ডিএনএ গবেষণা: বইটির প্রথম দিকেই ডিএনএ এবং জিনের মূলে বিজ্ঞান কীভাবে কাজ করে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ডিএনএ-এর ডাবল হেলিক্স কাঠামো এবং কীভাবে জিন তথ্যবহন করে তা তুলে ধরা হয়।
2. জেনিফার ডুডনার জীবন: বইটি জেনিফার ডুডনারের শৈশব থেকে শুরু করে তার বৈজ্ঞানিক অভিযাত্রা পর্যন্ত, বিশেষত CRISPR প্রযুক্তি আবিষ্কারের পেছনের ঘটনাগুলি নিয়ে আলোচনা করে।
3. CRISPR-Cas9 প্রযুক্তি: CRISPR প্রযুক্তি হলো এমন একটি পদ্ধতি যা বিজ্ঞানীরা ডিএনএ-এর নির্দিষ্ট অংশকে কাটতে ও পরিবর্তন করতে ব্যবহার করতে পারে। এটি অত্যন্ত নির্ভুল এবং সহজে ব্যবহৃত হতে পারে, যা জিন-সম্পাদনার ক্ষেত্রে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে।
4. জিন সম্পাদনার নৈতিকতা: বইটিতে জিন সম্পাদনার নৈতিক দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানব জিনমে পরিবর্তন করা সম্ভব, যা নৈতিকভাবে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, বিশেষত মানব ভ্রূণ পরিবর্তন করার সম্ভাবনা নিয়ে।
5. ভবিষ্যতের বৈজ্ঞানিক প্রভাব: CRISPR প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং কীভাবে এটি মানবজাতির রোগ নিরাময়, খাদ্য উৎপাদন, এবং পরিবেশগত সমস্যাগুলিতে সাহায্য করতে পারে তা বইটিতে বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
“The Code Breaker” বইটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং এর মানবিক ও নৈতিক প্রভাব সম্পর্কে একটি চিন্তাশীল এবং গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।